:

নির্বাচনী রোডম্যাপের খসড়া প্রস্তুত, চলতি সপ্তাহে প্রকাশ: ইসি সচিব

top-news

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, নির্বাচনী রোডম্যাপের খসড়া করা হয়েছে। ইসির অনুমোদনের পর চলতি সপ্তাহে এটা প্রকাশ করা হবে।

সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইসি সচিব এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, রোডম্যাপ বিষয়ে এই সপ্তাহে একটা কর্মপরিকল্পনার ব্যাপারে বলা হয়েছিল। এটা সমন্বয় করা হচ্ছে। আন্ত অনুভাগ প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো নিয়ে রোডম্যাপের খসড়া করা হয়েছে। এটা এখন কমিশনে দিয়ে আমরা অনুমোদন করবো। এরপর এই সপ্তাহের ভেতরে রোডম্যাপ দিতে পারবো।

এদিন নির্বাচন ভবনে মাঠ কর্মকর্তাদের সমন্বয় নিয়ে বৈঠক করেছে ইসি সচিবালয়। এরই মধ্যে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতির কথা তুলে ধরেন ইসি সচিব।

ভোট প্রস্তুতির এ মুহূর্তে আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগের কারণ নেই বলে মন্তব্য করে আখতার আহমেদ বলেন, নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা তো আরও পরের ব্যাপার। আমাদের কনসার্ন হওয়ার এই মুহূর্তে কোনো কারণ আছে? আমরা আমাদের জিনিসটা গুছিয়ে নিচ্ছি। যে যার জায়গাটাকে গুছিয়ে নিলেই তো হয়ে যাবে। নির্বাচন ব্যবস্থাপনার সঙ্গে আমরা এই মুহূর্তে জড়িত।

তিনি জানান, মাঠপ্রশাসনে যারা আছেন, তারা রেসপেক্টিভ এরিয়াতে কাজ করছেন। আইনশৃঙ্খলার সঙ্গে যারা আছেন, তারাও রেসপেক্টিভ এরিয়াতে করছেন। আমাদের ভেতরে একটা যোগাযোগ তো আছেই। এটা নিয়ে এই মুহূর্তে আমার কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করার কোনো যুক্তিসংগত কারণ নেই।

ইসি সচিব বলেন, মাঠপ্রশাসনে নিয়োজিত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় ও তাদের কার্যপরিধি এবং ফোকাল পারসন নির্ধারণের ব্যাপার রয়েছে। এসব বিষয়ে পরিপত্র-নির্দেশনা ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কিত কাগজপত্র তৈরি করা নিয়ে একটা মিটিং চলছে। আমরা কো-অর্ডিনেট করার চেষ্টা করছি, যেন আমরা সময়মতো কাজগুলোকে গুছিয়ে রাখতে পারি।

সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাস বিষয়ে তিনি বলেন, সীমানা নির্ধারণের ক্ষেত্রে আপত্তিগুলোর শুনানি ২৪ আগস্ট থেকে শুরু করব। একটানা চারদিন শুনানি শেষে এটাকে চূড়ান্ত করব।

আগামী নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষ নিয়ে পরিকল্পনা এবং ভোটার উপস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এবার ভোটকেন্দ্র না বাড়িয়ে কীভাবে সমন্বয় করা যায় সে বিষয়ে পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। সমন্বয় কমিটির মাসিক মিটিংয়ে ভোটকেন্দ্র স্থাপন নীতিমালা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা বলেছি যে ভোটকেন্দ্র সংখ্যা বাড়বে না। বাড়বে না এর অর্থ এই নয় যে- অতীতে যা ছিল সেটাই একদম হুবহু রাখতে হবে। যৌক্তিক বিবেচনায় যদি বাড়ে সেটা হবে। আমাদের ধারণা, ভোটকেন্দ্র না বাড়িয়েও শুধু ভোটার উপস্থিতির বিষয়টাকে যদি আমরা বিবেচনায় নেই, তাহলে হয়ত দেখা যাবে যে- এটাকে সমন্বয় করতে পারছি। ভোটকেন্দ্রের নীতিমালার ব্যাপারটা সুযোগ এসেছে বলে পর্যালোচনা করা যাচ্ছে। কোনো জিনিসই একদম অবধারিত না, এটা পরিবর্তন হতে পারে।

প্রতি তিন হাজার ভোটারের জন্য একটা ভোটকেন্দ্র স্থাপন এবং ভোটার উপস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে পরিকল্পনা করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, উদাহরণ হিসেবে বলা যায়- প্রতি কেন্দ্রে পুরুষদের জন্য ৫০০ জনের একটা বুথ রয়েছে। এটাকে যদি ৬০০ জনের জন্য করতে পারি তাহলে একোমোডেট করতে পারব। সেভাবে আমরা একটু হিসাব করছি এবং হিসাব করে যদি আমরা দেখি এটা গ্রহণযোগ্য, তাহলে আমরা সেই মাত্রায় কাজ করব।

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ করার বিষয়ে সরকারের আগ্রহ থাকলেও ইসি কী উদ্যোগ নিচ্ছে- জানতে চাইলে সচিব আখতার আহমেদ বলেন, এখনো পর্যন্ত এটা আমাদের কোনো আলোচনায় আসেনি। যদি কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত হয়, তাহলে হবে। যদি না হয় সেটা ভোটকেন্দ্র ব্যবস্থাপনার মধ্যে।

ইসির প্রাথমিক বাছাইয়ে টিকে থাকা নিবন্ধনপ্রত্যাশী ২২টি দলের অফিস ও কমিটির তদন্তের জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলের যে ২২টা দল প্রাথমিকভাবে বাছাই হয়েছে, তাদের তদন্ত মাঠপর্যায়ে পাঠানো দরকার সেটা পাঠিয়ে দিয়েছি। আর যাদেরটা বাতিল বা বিবেচনাযোগ্য হয়নি তাদেরকে আমরা চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিচ্ছি।

তিনি বলেন, এবার কোনো কারণে বা কোনো শর্তের অপূর্ণতার কারণে যাদেরটা বিবেচনা করা যায়নি, সেটা স্পেসিফিক করে উল্লেখ করে চিঠি দেওয়া হচ্ছে।

https://newspluse24.com/public/uploads/images/manualAds/maanmanualAds02022025_111955_adds.jpg

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *