:

রাউজান তাপ বিদ্যুত কেন্দ্রে আগুন: উৎপাদন বন্ধ: তদন্ত কমিটি গঠন

top-news

চট্টগ্রাম তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় ব্যাপক আকারে ক্ষয়ক্ষতি না হলেও উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। বুধবার (৬ আগস্ট) বিকাল সাড়ে তিন টার দিকে রাউজান উপজেলার দক্ষিণ-পূর্বপ্রান্তে অবস্থিত এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যাটারি হাউসে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এই সময় আশেপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চট্টগ্রাম তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, আমাদের একটা ইউনিট চালু অবস্থায় ব্যাটারী রুমে যেকোন কারণে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে আগুন লেগে যায়। ব্যাটারি কক্ষটি আবদ্ধ ছিল। আমরা ধোঁয়া দেখে আগুন লাগার বিষয়টি যখন বুঝতে পেরেছি তখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।

রাঙ্গুনিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও ব্যাটারির পাওয়ার নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত আমরা ঝুঁকিতে আছি। তিনি আরো জানান, গ্যাস সংকটের কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গত বৃহস্পতিবার একটি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে যায়। আজ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তা পুনরায় বন্ধ হয়ে যায়।

রাঙ্গুনিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ইনচার্জ জসিম উদ্দিন জানান, ৩ টা ২৫ মিনিটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তিন তলা বিশিষ্ট ভবনের ২য় তলায় ব্যাটারি হাউসে আগুন লাগে। যে ব্যাটারি গুলো দ্বারা টার্মিনাল গুলো চলে।   সংবাদ পেয়ে ৩ টা ৩৫ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৫টা ২০ মিনিটে সম্পূর্ণভাবে আগুন নির্বাপন করি। আগুনে প্রায় ৩শতেরও অধিক ব্যাটারি নষ্ট হয়েছে। ব্যাটারি হাউসের পাশাপাশি দুটি গোডাউনেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে।  তবে, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে।  খবর পেয়ে রাউজান ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

বিদ্যুৎকেন্দ্রের সূত্র জানায়, ৪৪০ মেগাওয়াট সক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্রটি প্রায় তিন বছর বন্ধ থাকার পর গত রোববার চালু করা হয়েছিল। দুর্ঘটনার আগ পর্যন্ত কেন্দ্রটির দুই নম্বর ইউনিট থেকে ১৮০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছিল।

রাউজান বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মুহাম্মদ আব্দু জাহেদ বলেন, 'ব্যাটারি কক্ষে আগুন লাগার পর উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রথমে আমাদের কর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হলে তারা প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।'

তিনি আরও বলেন, 'দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গত রোববারই ইউনিটটি চালু করা হয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, মাত্র তিন দিনের মাথায় এটি আবার অচল হয়ে গেল। ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।'

প্রধান প্রকৌশলী জানান, মূলত গ্যাস-সংকটের কারণেই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি এতদিন উৎপাদনে ছিল না। তিনি বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপন করে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাটারিগুলো প্রতিস্থাপনের চেষ্টা করছি, যাতে দ্রুত বিদ্যুৎ উৎপাদন আবার শুরু করা যায়।'

https://newspluse24.com/public/uploads/images/manualAds/maanmanualAds02022025_111955_adds.jpg

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *